ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

নিজেদের মধ্যে সমস্যা থাকলে মাদক নির্মূল চ্যালেঞ্জিং হবে: র‌্যাব মহাপরিচালক

নিউজ ডেস্ক ::  আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাদকের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকলে মাদক নির্মূল চ্যালেঞ্জিং হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাদকের সঙ্গে যেন কোনো রকম সংশ্লিষ্টকতা না থাকে। বাহিনীর মধ্যে যেন কেউ মাদক সেবন না করে কিংবা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকে।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাদকবিরোধী ‘বিচ ম্যারাথন’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে দৌড়াও বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১০ কিলোমিটার ব্যাপী ম্যারাথনের আয়োজন করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বেলা ১২টার দিকে র‌্যাব মহাপরিচালক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ম্যারাথন উদ্বোধন করেন। ম্যারাথনে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রতি বছর ১ লাখ কোটি টাকা মাদকের অর্থনীতিতে ব্যয় হচ্ছে। এই টাকার পুরোটাই বিনষ্ট হচ্ছে।

দেশের উন্নয়ন যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে মাদক, জঙ্গিবাদ, ও দুর্নীতির অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে হবে বলে জানান তিনি।

মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বার বার জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। মাদক নির্মূল করতে সব শ্রেণির মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, মাদক নির্মূল করতে মাদকের সরবরাহ ও চাহিদা দুটিই নির্মূল করতে হবে। শুধু সরবরাহ বন্ধ করলেই হবে না, চাহিদাও নির্মূল কততে হবে। কেনন চাহিদা থাকলে মাদকাসক্ত ব্যক্তি যে কোনোভাবে মাদক সংগ্রহের চেষ্ট করবেন।

তিনি বলেন, শুধু অভিযান বা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেই মাদক বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আর এর জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ দেশে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এক শ্রেণির রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। তারা সীমান্তের ওপার থেকে দেশে ইয়াবা নিয়ে আসছে।

মাদবের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, শুধু মাদক ব্যবসায়ী না তাদের যারা অর্থের যোগান দিচ্ছেন তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে বিদেশে বসে মাদক ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬০-৮০ লাখ মাদকাসক্ত আছে। তবে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তাকে বর্জন না করে ওই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে তাকে সহযোগিতা করা দরকার।

পাঠকের মতামত: